Showing posts with label স্বাস্থ্য-কথা. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য-কথা. Show all posts
ভুলেও ৫টি স্থানের ব্যাথাকে অবহেলা করবেন না???

ভুলেও ৫টি স্থানের ব্যাথাকে অবহেলা করবেন না???



আমাদের শরীরের নানা স্থানে মাঝে মাঝে টুকটাক ব্যাথা হয়। কখনো কম কখনো বেশি এসব ব্যাথাকে অধিকাংশ সময়েই আমরা কোনো গুরুত্ব দেই না। অথচ এসব ব্যাথাই হতে পারে অনেক বড় কোন সমস্যার প্রথমিক লক্ষণ। ডেকে আনতে পারে মৃত্যু পর্যন্ত! তাই এসব ব্যাথাকে সব সময় অবহেলা করা কিংবা ঘরোয়া চিকিৎসা করা একেবারেই উচিত নয়। তাই জেনে নেয়া উচিত কোন কোন ধরনের ব্যাথাকে হেলাফেলা না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত সে সম্পর্কে। আসুন জেনে নিই কিছু শারীরিক ব্যাথা সম্পর্কে যেগুলো অবহেলা করা একেবারেই উচিত নয়।


১। যে দাঁত ব্যাথায় রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়: আপনার যদি দাঁত ব্যাথার মাত্রা এতোটাই বৃদ্ধি পায় যে মাঝ রাতে গভীর ঘুম দাঁত ব্যাথার কারণে ভেঙে যায়, তাহলে আপনার দ্রুত দাঁতের ডাক্তার দেখানো উচিত। দাঁতের ছিদ্রের মাধ্যমে ইনফেকশন মাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার কারণে এ ধরণের দাঁত ব্যাথা হতে পারে। 


২। হঠৎ মাথায় অসহ্য যন্ত্রনা: হঠাৎ করে যদি মাথায় অস্বাভাবিক ব্যাথা উঠে এবং মাথার ব্যাথায় আপনি যদি চোখে ঘোলা দেখতে আরম্ভ করেন তাহলে বিষয়টিকে একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ, কোনো আঘাত, টিউমার ইত্যাদির কারণে এধরনের অস্বাভাবিক ব্যাথা হতে পারে আপনার মাথায়। তাই এ পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে যান।


৩। তলপেটের ডান দিকের ব্যাথা: এধরণের ব্যাথা যদি আপনার ২৪ ঘন্টার বেশি সময় পর্যন্ত থাকে এবং কিছুটা নড়াচড়া করে ব্যাথার স্থানে তাহলে হতে পারে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ। এ অবস্থায় আপনাকে জরুরী ভিত্তিতে অপারেশনস্ করাতে হতে পারে। তাই এ ধরনের ব্যাথায় জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


৪। পিঠের মাঝামাঝি স্থানে ব্যাথা এবং জ্বর: আপনার পিঠের মধ্যভাগের ব্যাথা, জ্বর এবং ক্লান্তিকে একদমই অবহেলা করবেন না। কারন এগুলো হতে পারে কিডনি সমস্যার লক্ষণ। কিডনিতে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ এবং ইউরিন ইনফেকশনের জন্য এ ধরণের ব্যাথা হতে পারে।


৫। মাসিকের সময়ে অস্বাভাবিক পেট ব্যাথা: মাসিকের সময় যদি অস্বাভাবিক পেটে ব্যাথা থাকে এবং সে ব্যাথা সহজে না কমে, তাহলে এটাকে হেলায়-ফেলায় উরিয়ে দেবেন না। কারন নানান ধরনের গাইনি সমস্যার কারণে মাসিকে তীব্র ব্যাথা হতে পারে। তাই এ পরিস্থিতিতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার দ্রুত চেষ্টা করুন।


বিঃ দ্রঃ পোষ্টের মাঝে যদি কোন শব্দ ভুল বা উচ্চারনে ভুল হয় দয়া করে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আপনাদের হতে কাম্য।
৫টি বদঅভ্যাস আপনাকে কোথায় পাঠাতে পারে দেখুন একবার ???

৫টি বদঅভ্যাস আপনাকে কোথায় পাঠাতে পারে দেখুন একবার ???



প্রতিদিন আমরা এমন কিছু কাজ করি বা অভ্যাসের মধ্য দিয়ে যাই, যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এগুলোর মাঝে এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলোর কারণে আপনি বড়সর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে এমনকি সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। যেমন- একটি বড়সর হাচিঁর কারণে আপনি পিঠে মারাত্মক ব্যাথা পেতে পারেন সে সঙ্গে সারাজীবনের জন্য চলাফেরায় অক্ষম হয়ে যেতে পারেন। আসুন জেনে নিই দৈনন্দিন জীবনের এমন ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাস সম্পের্কে :



১। প্লাষ্টিকের ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল : গরম বা বৃষ্টির দিনগুলোয় অনেকেই চলাফেরার জন্য বেছে নেন একেবারেই ফ্লাট প্লাষ্টিকের ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল। কিন্তু আপনি কি জানেন আপাতদৃষ্টিতে আরামদায়ক এ স্যান্ডেল আপনার কত বড় স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। কিন্তু আপনার স্যান্ডেলেরে ফিতা যদি হয় একেবারে ঢিলাঢালা অথবা গোড়ালী থেকে শুরু করে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত পুরোটাই যদি থাকে সমানরকম ফ্ল্যাট, সে জন্য আপনার পা‘কে অতিরিক্ত ব্যালেন্স রেখে চলতে হয়। একারণেই পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী হাঁটু, মেরুদন্ড বা কোমর ব্যাথা হতে পারে। তাই স্যান্ডেল কেনার সময় খেয়াল রাখুন যাতে ফিতেটা বেশ টাইটভাবে আপনার পা‘কে লাগিয়ে রাখে,  গোড়ালীর কাছে যাতে একটু পুরু হিল ও জুতোর তলাটা যাতে একেবারেই সমান না হয়ে খাঁজকাটা হয়। নয়তো যেকোন সময় সিঁড়ি বা পিচ্ছিল জায়গায় পড়ে গিয়ে ভালোরকম চোট পেতে পারেন। 



২। অতিরিক্ত মোটা মানিব্যাগ : অনেকেরই অভ্যাস মানিব্যাগ টাকা পয়সা ছাড়াও ভিজিটিং কার্ড, বিল, কাগজ ও অন্যান্য অনেক কিছু দিয়ে ভর্তি করে রাখা। কিন্তু অকারণেই করে রাখা এ মোটাসোটা মানিব্যাগ বা ওয়ালেট প্যান্টের পেছনের পকেটে রেখে যখন আপনি দীর্ঘসময় বসে থাকেন, সেটি আপনার  নার্ভ ও মেরুদন্ডে চাপ সৃষ্টি করে। যা আপনার মেরুদন্ড এমনকি ঘাড়ের দীর্ঘমেয়াদী ব্যাথার কারণ হতে পারে। 



৩। স্কিনটাইট প্যান্ট পরা : অতিরিক্ত জিন্স যতই ফ্যাশনেবল হোক না কেন এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ততটাই ভয়াবহ! অতিরিক্ত টাইট জিন্স পরার কারনে এটি আপনার পায়ের বিশেষত উরুর দিকে রক্তচলাচলে বাঁধা দেয়। শুধু তাই নয়, টাইট জিন্স পরে দীর্ঘমেয়াদে পায়ের পাতার অবশতা, থাইয়ের চামড়ায় দাগ ও জ্বলুনি হতে পারে। তাই স্কিন টাই প্যান্টের বদলে অন্য নরম কাপড়ের লেগিংস ব্যাবহার করতে পারেন।


৪। অতিরিক্ত পানি পান করা : শুনতে অদ্ভুত শুনালেও এটিই সত্যি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করলে আপনার শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো শরীর থেকে সহজেই বেরিয়ে যায়। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন যে, অতিরিক্ত পানি পানের ফলে বিষাক্ত পদার্থের পাশাপাশি শরীর থেকে দরকারী আয়রন, সোডিয়াম ও অন্যান্য মিনারেলগুলোও বেরিয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়, এমনকি পানিও নয়। মনে রাখা জরুরি পরিমিত পানি পান করা ভালো, অতিরিক্ত নয়।


৫। অতিরিক্ত ব্যায়াম: বর্তমানে সিক্স প্যাক তৈরির ক্রেজ বা ট্রেন্ড চলছে। তাই তরুন কিশোর, যুবক কেউই এ থেকে বাদ নেই। কিন্তু দ্রুত শরীরে পরিবর্তন আনার জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম করার ফলে শরীরের টিস্যূগুলো ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই ব্যায়াম করে ভালোর চেয়ে যাতে খারপ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম করুন যা স্বাস্থ্যসম্মত। অতিরিক্ত নয়!!



বিঃ দ্রঃ পোষ্টের মাঝে যদি কোন শব্দ ভুল বা উচ্চারনে ভুল হয় দয়া করে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আপনাদের হতে কাম্য।


আপনার অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে ৪টি কাজ ???

আপনার অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে ৪টি কাজ ???



সুস্থ থাকতে কে না চায় ? সুস্থ থাকতে কত কিছুইনা করে মানুষ। নিয়মিত ব্যায়াম, খাওয়া দাওয়া, ঔষধ ইত্যাদি সবই তো সুস্থ থাকার জন্য। কিন্তু আমাদের কিছু অসাবধানতা কিংবা ভুল কাজের জন্য আমরাই বাড়িয়ে দিচ্ছি নিজেদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি। জেনে নিন ৪টি কাজ সম্পর্কে যেগুলো বাড়িয়ে দিচ্ছে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা:-



     ১। বালিশের নিচে কিংবা বুক পকেটে ফোন রাখা : মোবাইল ফোন তো এখন সবারই আছে। বুক পকেটে ফোন রেখে সারাদিন চলাফেরা করেন অনেক মানুষ। আর রাতে ঘুমানোর সময় বালিশের নিচে ফোনটা না রাখলেই নয়। কারন- সময় দেখা, এলার্ম দেয়া সবকিছু তো ফোনেই। কিন্তু বুক পকেটে ফোন রাখা কিংবা বালিশের নিচে ফোন রাখা দ্রুত কমিয়ে দিচ্ছে আপনার আয়ু। মোবাইলের রেডিয়েশন হার্ট ও ব্রেইনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই এ অভ্যাস ত্যাগ করাই ভাল। 


     ২। রাত জাগার অভ্যাস : ইদানিং তরুণ প্রজন্মের রাত জাগার অভ্যাসটা অনেক বেশি। সারাদিন ক্লাস করে এসেও রাতে না ঘুমিয়ে ফেসবুক কিংবা মোবাইল চ্যাট করে রাত কাটিয়ে দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন অনেকেই। কিন্তুু অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।  বিভিন্ন গবেষকরা বারবারই বিষয়টি প্রমাণ করেছে যে, রাত জাগার অভ্যাস আয়ু কমিয়ে দেয় খুব দ্রুত। সে সঙ্গে নানান রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। 
    

     ৩। একনাগারে চেয়ারে বসে থাকা : ইদানীং প্রয় সব অফিসেই একনাগাড়ে চেয়ারে বসে কাজ করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। একনাগাড়ে বসে থাকার ফলে অনেকেরই ভূঁড়ি বেড়ে যায় খুব দ্রুত। পুরো শরীরের ওজনটা তো বাড়েই। সে সঙ্গে দেখা দেয় চোখের সমস্যা। একনাগাড়ে বেশিক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে হার্টেও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে সঙ্গে অতিরিক্ত মেদের কারনে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয় যা অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 


      ৪। পিরিয়ডের বিলম্ব নিয়ে অবহেলা : অনেক নারীই পিরিয়ডে বিলম্ব হওয়ার ব্যাপারে বেশ অসচেতন। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পিরিয়ড না হলেও অনেকেই ভাবেন তেমন কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তুু নিয়মিত পিরিয়ড হলো সুস্থ্যতার লক্ষণ। তাই পিরিয়ড অনিয়মিত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং সমস্যা খুলে বলা উচিত। যে কোনো গাইনি সমস্যাই অবহেলা করা উচিত নয়। 


     বিঃ দ্রঃ পোষ্টের মাঝে যদি কোন শব্দ ভুল বা উচ্চারনে ভুল হয় দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আপনাদের হতে কাম্য।

স্বাস্থ্যবান ও সুখী জীবনের জন্য ২০ টি গুরূত্বপূর্ন টিপস।

স্বাস্থ্যবান ও সুখী জীবনের জন্য ২০ টি গুরূত্বপূর্ন টিপস।


সবাই চায় সূস্বাস্থ্য ও সুখী জীবনের অধিকারী হতে। যার স্বাস্থ্য ভালো তার সব ভালো।স্বাস্থ্যের সঙ্গে মনের মনের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। সূস্বাস্থ্যেও অধিকারী মানুষ নিজের সুখের জন্য পথ তৈরী করে নেবেন নিজের থেকেই। অপরদিকে একজন অসুস্থ মানুুষ চাইলেও নিজের মনেক সুখ দিতে পারেন না। 
একারনেই সুস্বাস্থ্য এবং সুখী জীবন যাপন করে তোলার জন্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কিছু কাজও করতে হবে নিজেকে মানসিকভাবে সুখী করার জন্য। সেসব অভ্যাস ও কাজের কথাগুলো আসুন জেনে নেওয়া যাক।

সুস্বাস্থ্য পেতে::


১. প্রতিদিন কম করে হলেও ১০ মিনিট হাটুন। 
২. সিঁড়ি বেয়ে উঠুন লিফটের বদলে।
৩. প্রতিদিন কমকওে ১০ মিনিট অন্ধকার স্থানে চুপচাপ চোখ বন্ধ করে বসে থাকুন।
৪. ৬-৮ ঘন্টা নিয়মিত এবং নির্দ্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করূন। বেশি রাত জাগবেন না।
৫. প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট সময় বের করে ব্যায়াম করার চেষ্টা করূন।
৬. মাসে কমপকওে একবার দু‘দিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন পছন্দের কোন স্থানে।
৭. শরীরকে কষ্ট দিয়ে কোন কাজ করবেন না। আপনি যতটুকু পারবেন ততটুকু করার চেষ্টা করবেন।
৮. প্রতিদিন ৪-৫ লিটার পানি পান করবেন।
৯. সময়মতো এবং পরিমানমতো খাওয়া দাওয়া করূন।
১০. খাদ্য তালিকায় বেশি রাখুন শাকসবজি, ফলমুল। শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী মাছ, মাংস খান।


সুখী জীবন পেতে::


প্রাণ খুলে হাসুন। সবাইকে মিষ্টি হাসি উপহার দিন।
নিজের সঙ্গে অন্য কারো তুলনা করতে যাবেন না। আপনি আপনার স্থানে ভিন্ন একজন মানুষ। 
নেতিবাচক সবধরনের ভাবনা ঝেরে ফেলুন, যারা নেতিবাচক ভাবনা করে তাদের জীবনে ইতিবাচক ঘটনা বেশ কমই ঘটে।
আয় বুঝে ব্যয় করূন। নিজের সীমার বাইরে যাবেন না কখনো। একবার সীমার বাইরে চলে গেলে জীবনটা অগোছালো হতে পারে। 
একদম সময় নষ্ট করবেন না। কাজ করূন যতটুকো সময় পান। বাকি সময় নিজের জন্য এবং নিজের পরিবারের জন্য ব্যয় করূন। জীবনে উন্নতি ও সূখ পাবেন। 
হিংসা,লোভ-লালসা, রাগ, ঈর্ষা-এধরনের আবেগ গুলো নিজের থেকে দুরে রাখুন। নিজের উপর নিয়ন্ত্রন রাখুন যতোটা সম্ভব।
অতীত থেকে জ্ঞান অর্জন করূন। জ্ঞানগুলো কাজে লাগান আর অতীতকে ভুলে যান। অতীত কি করতে পারতেন আর কি করতে পারতেন না তা আর এখন ভেবে কোন লাভ নেই। এটি শুধুই বর্তমানকে নষ্ট করে। 
মানুষকে ভালোবাসুন । জীবনটা অনেক ছোট। এখানে অন্য একজনকে ঘৃনা করে কাটানোর মতো সময় একেবারেই নেই। 
মাফ করতে শিখুন। এতে মনের আনন্দ ফিরে পাবেন। 
১০ সবসময় ন্যায়ের কথা বলুন। আদর্শে জীবন চলে না, কিন্তু আপনি আদর্শ অনুসরন না করলে জীবনে শান্তি পাবেন না। মনে সুখ আসবে না।
আটটি খাবার ভুলেও দ্বিতীয়বার গরম করে খাবেন না????

আটটি খাবার ভুলেও দ্বিতীয়বার গরম করে খাবেন না????



আমরা বাসায় রান্না করার পর সময় বাঁচানোর জন্য কিছু খাবার পরের দিনের জন্য রেখে দেই, আবার সেই খাবার পুনরায় গরম করেই খাই। কিন্তু সেই খাবার পুনরায় গরম করে খাওয়া অনেক ঠিক না। এই রকম খাবার আমাদের শরীরের মারাতœক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এতে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমন কিছু খাবার আছে যা আমরা প্রতিদিন বারবার গরম করি। এরকম ৮টি খাবারের সম্পর্কে আজ জেনে রাখুন যেগুলো ভুলেও পূনরায় গরম করবেননা।



ভাত :- ভাত রান্না করার সময় তাতে বেসিলস সিরিয়াস ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। রান্না করা ভাত পুণরায় গরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যায় দিগুন হয়ে গিয়ে ডায়েরিয়া ও হতে পারে।


আলু :- আলু রান্না বা সিদ্ধ করার পারে ঠান্ডা হওয়ার সময় তাতে বটুলিজম নামে একটি ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হয়। ফের তা গঁরম করলে এই ব্যাক্টেরিয়র সংখ্যাগুলি বেড়ে গিয়ে ফুড পয়জনিং পর্যন্ত হতে পারে।


ডিম :- ডিমের মধ্যেও বেশি পরিমাণে প্রেটিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। রান্নার পরে আবার তা গরম করলে ডিম থেকে টক্সিন তৈরি হবে যা থেকে বদ হজম হতে পারে। ডিম সিদ্ধ করার ৬ ঘন্টার পর না খাওয়াই উত্তম।


মুরগির মাংস :- অনেকেই সময় বাঁচানোর জন্য একবারেই অনেক মুরগির মাংস রান্না করে রাখি কিন্তু মুরগির মাংস বার বার গরম করে খাওয়া উচ্চি নয়। কারন মুরগির মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। রান্না করার পর পুণরায় আবার গরম করলে প্রোটিনের কম্পোজিশন বদলে গিয়ে তা থেকে বদহজম হতে পারে। 


মাশরুম :- সাধারণত মাশরুমের ফাইবার ও এনজাইম হজমে সহায়তা করে। এটি অন্ত্রে উপকারী ব্যাবটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলন-এর পুষ্টি উপাদান শোষণকেও বাড়াতে সহায্য করে। আর তাই মাশরুম একবার রান্নার পরে দ্বিতীয়বার গরম করে খেলে তা আমাদের পেটের জন্য অনেক ক্ষতিকর।


চা :- চা আমাদের অনেকেরই জানা যে একবার চা বানানোর পর তা ঠান্ডা হয়ে গেলে পুনরায় গরম করা উচিত নয়। কারণ চায়ের মধ্যে ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। তৈরি করা চা পুণরায় গরম করে পান করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।


পালংশাক :- এছাড়াও পালংশাকও রান্নার পর পুনরায় গরম করা উচিত নয়। পালংশাকে অতিরিক্ত পরিমাণে নাইট্রেট থাকে। রান্না করা পালংশাক বারবার গরম করে খেলে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বেশি মাত্রায় ঢুকে শরীরের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।


পোড়া বা খাবার তেল :- আমরা অনেকেই খাবার রান্নার পর অবশিষ্ট তেল রেখে দেই পরবর্তীতে কোন কিছু রান্নার জন্য কিন্তু আমরা খেয়াল করি না এটা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। পোড়া তেল বারবার গরম করে রান্নায় ব্যাবহার করলে ক্যান্সারও হওয়ার আশঙ্কা বেশি থেকে যায়।

দিনদিন আমাদের লিভার কিভাবে নষ্ট হয় ? কোন কোন খাবারে লিভার সুস্থ থাকে ?

দিনদিন আমাদের লিভার কিভাবে নষ্ট হয় ? কোন কোন খাবারে লিভার সুস্থ থাকে ?


ক্ষতিগ্রস্থ লিভার 


লিভার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অত্যান্ত জরুরী অঙ্গ। শরীরের কার্যপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখার জন্য, খাবার হজম ও রক্তের বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান পরিশোধন করার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সাধারণত লিভার করে থাকে।
আর তাই শরীরের এই বিশেষ অঙ্গের দরকার বিশেষ যতœ। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদেরই কিছু ভুলের কারণে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের লিভারের। জেনে নিন কিছু বদঅভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো আপনার লিভারের ক্ষতি করছে প্রতিনিয়ত।

সকালে ঘুম থেকে উঠে মুত্র ত্যাগ না করা :-

আনেকেই সকালের ঘুম নষ্ট হওয়ার ভয়ে মুত্রচাপ থাকলেও সকাল বেলা ঘুম থেকে মুত্রত্যাগ করেন না। আবার অনেকেই রাতের বেলা এতো কম পানি পান করেন যে সকালে মুত্রচাপ থাকে না। সকালে একবারও মুত্রত্যাগ না করেই নাস্তা খেয়ে নেন। সকালে মুত্রত্যাগ না করার অভ্যাসের কারণে লিভারের ক্ষতি হয়।

ধুমপান অথবা মদ্যপান  :-

যারা অতিরিক্ত ধুমপান করেন তাদের লিভার বেশ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। ধুমপান করলে সিগারেটের ক্ষতিকর উপাদানগুলো লিভারের ক্ষতি করে। এছাড়াও যাদের মদ্যপানের অভ্যাস আছে তাদেরও লিভারের সমস্যা দেখা দেয় যা খুব দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় মানুষকে। তাই লিভারকে সুস্থ্য রাখতে চাইলে ধুমপান ও মদ্যপান পরিহার করাই ভালো। 

অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া  :-

যাদের অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে তদের লিভার বেশ দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে কোমল পানীয়র প্রতি যারা মাত্রতিরিক্ত দূর্বল তাদের লিভার বেশ দ্রুত ক্ষতির সম্মখীন হয়। তাই লিভার ভলো রাখতে চাইলে মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়া ভালো।

ঘুমে ব্যাঘাত  :-

ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে পুরো শরীরেই পরে বিরুপ প্রভাব। আর এই বিরুপ প্রভাব থেকে লিভারও রক্ষা পায় না। তাই লিভার ভালো রাখতে চাইলে পরিমিত ঘুম প্রয়োজন।

ওষুধের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা  :-

অনেকেও ওষুধের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল। নিয়মিত ঘুমের ওষুধ, কাশির ওষুধ, অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ইত্যাদি খেয়ে অনেকেই রীতিমতো নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন। ওষূধের উপর এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা লিভারের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সকালের নাস্তা না খাওয়া  :-

খাবারের অনিয়মের কারণেও লিভারের ক্ষতি হয়। সকালের নাস্তা না খাওয়া, খুব বেশি পরিমাণেও খাওয়া, অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার খাওয়া, কৃত্রিম রং, প্রিজারভেটিভ যুক্ত খাবার খাওয়া ইত্যাদি অভ্যাসের কারনেও দ্রুত লিভারের সমস্যা দেখা দেয়।



নিচে চিত্রসহ লিভার সুস্থ্য রাখার কতগুলি নিয়মাবলি দেওয়া হলো।

সুস্থ্য লিভার