প্রতিদিন আমরা এমন কিছু কাজ করি বা অভ্যাসের মধ্য দিয়ে যাই, যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এগুলোর মাঝে এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলোর কারণে আপনি বড়সর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে এমনকি সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। যেমন- একটি বড়সর হাচিঁর কারণে আপনি পিঠে মারাত্মক ব্যাথা পেতে পারেন সে সঙ্গে সারাজীবনের জন্য চলাফেরায় অক্ষম হয়ে যেতে পারেন। আসুন জেনে নিই দৈনন্দিন জীবনের এমন ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাস সম্পের্কে :
১। প্লাষ্টিকের ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল : গরম বা বৃষ্টির দিনগুলোয় অনেকেই চলাফেরার জন্য বেছে নেন একেবারেই ফ্লাট প্লাষ্টিকের ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল। কিন্তু আপনি কি জানেন আপাতদৃষ্টিতে আরামদায়ক এ স্যান্ডেল আপনার কত বড় স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে। কিন্তু আপনার স্যান্ডেলেরে ফিতা যদি হয় একেবারে ঢিলাঢালা অথবা গোড়ালী থেকে শুরু করে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত পুরোটাই যদি থাকে সমানরকম ফ্ল্যাট, সে জন্য আপনার পা‘কে অতিরিক্ত ব্যালেন্স রেখে চলতে হয়। একারণেই পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী হাঁটু, মেরুদন্ড বা কোমর ব্যাথা হতে পারে। তাই স্যান্ডেল কেনার সময় খেয়াল রাখুন যাতে ফিতেটা বেশ টাইটভাবে আপনার পা‘কে লাগিয়ে রাখে, গোড়ালীর কাছে যাতে একটু পুরু হিল ও জুতোর তলাটা যাতে একেবারেই সমান না হয়ে খাঁজকাটা হয়। নয়তো যেকোন সময় সিঁড়ি বা পিচ্ছিল জায়গায় পড়ে গিয়ে ভালোরকম চোট পেতে পারেন।
২। অতিরিক্ত মোটা মানিব্যাগ : অনেকেরই অভ্যাস মানিব্যাগ টাকা পয়সা ছাড়াও ভিজিটিং কার্ড, বিল, কাগজ ও অন্যান্য অনেক কিছু দিয়ে ভর্তি করে রাখা। কিন্তু অকারণেই করে রাখা এ মোটাসোটা মানিব্যাগ বা ওয়ালেট প্যান্টের পেছনের পকেটে রেখে যখন আপনি দীর্ঘসময় বসে থাকেন, সেটি আপনার নার্ভ ও মেরুদন্ডে চাপ সৃষ্টি করে। যা আপনার মেরুদন্ড এমনকি ঘাড়ের দীর্ঘমেয়াদী ব্যাথার কারণ হতে পারে।
৩। স্কিনটাইট প্যান্ট পরা : অতিরিক্ত জিন্স যতই ফ্যাশনেবল হোক না কেন এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি ততটাই ভয়াবহ! অতিরিক্ত টাইট জিন্স পরার কারনে এটি আপনার পায়ের বিশেষত উরুর দিকে রক্তচলাচলে বাঁধা দেয়। শুধু তাই নয়, টাইট জিন্স পরে দীর্ঘমেয়াদে পায়ের পাতার অবশতা, থাইয়ের চামড়ায় দাগ ও জ্বলুনি হতে পারে। তাই স্কিন টাই প্যান্টের বদলে অন্য নরম কাপড়ের লেগিংস ব্যাবহার করতে পারেন।
৪। অতিরিক্ত পানি পান করা : শুনতে অদ্ভুত শুনালেও এটিই সত্যি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি পান করলে আপনার শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো শরীর থেকে সহজেই বেরিয়ে যায়। কিন্তু আপনি কি এটা জানেন যে, অতিরিক্ত পানি পানের ফলে বিষাক্ত পদার্থের পাশাপাশি শরীর থেকে দরকারী আয়রন, সোডিয়াম ও অন্যান্য মিনারেলগুলোও বেরিয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়, এমনকি পানিও নয়। মনে রাখা জরুরি পরিমিত পানি পান করা ভালো, অতিরিক্ত নয়।
৫। অতিরিক্ত ব্যায়াম: বর্তমানে সিক্স প্যাক তৈরির ক্রেজ বা ট্রেন্ড চলছে। তাই তরুন কিশোর, যুবক কেউই এ থেকে বাদ নেই। কিন্তু দ্রুত শরীরে পরিবর্তন আনার জন্য অতিরিক্ত ব্যায়াম করার ফলে শরীরের টিস্যূগুলো ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই ব্যায়াম করে ভালোর চেয়ে যাতে খারপ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম করুন যা স্বাস্থ্যসম্মত। অতিরিক্ত নয়!!
বিঃ দ্রঃ পোষ্টের মাঝে যদি কোন শব্দ ভুল বা উচ্চারনে ভুল হয় দয়া করে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আপনাদের হতে কাম্য।