সুস্থ থাকতে কে না চায় ? সুস্থ থাকতে কত কিছুইনা করে মানুষ। নিয়মিত ব্যায়াম, খাওয়া দাওয়া, ঔষধ ইত্যাদি সবই তো সুস্থ থাকার জন্য। কিন্তু আমাদের কিছু অসাবধানতা কিংবা ভুল কাজের জন্য আমরাই বাড়িয়ে দিচ্ছি নিজেদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি। জেনে নিন ৪টি কাজ সম্পর্কে যেগুলো বাড়িয়ে দিচ্ছে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা:-
১। বালিশের নিচে কিংবা বুক পকেটে ফোন রাখা : মোবাইল ফোন তো এখন সবারই আছে। বুক পকেটে ফোন রেখে সারাদিন চলাফেরা করেন অনেক মানুষ। আর রাতে ঘুমানোর সময় বালিশের নিচে ফোনটা না রাখলেই নয়। কারন- সময় দেখা, এলার্ম দেয়া সবকিছু তো ফোনেই। কিন্তু বুক পকেটে ফোন রাখা কিংবা বালিশের নিচে ফোন রাখা দ্রুত কমিয়ে দিচ্ছে আপনার আয়ু। মোবাইলের রেডিয়েশন হার্ট ও ব্রেইনের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই এ অভ্যাস ত্যাগ করাই ভাল।
২। রাত জাগার অভ্যাস : ইদানিং তরুণ প্রজন্মের রাত জাগার অভ্যাসটা অনেক বেশি। সারাদিন ক্লাস করে এসেও রাতে না ঘুমিয়ে ফেসবুক কিংবা মোবাইল চ্যাট করে রাত কাটিয়ে দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন অনেকেই। কিন্তুু অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষকরা বারবারই বিষয়টি প্রমাণ করেছে যে, রাত জাগার অভ্যাস আয়ু কমিয়ে দেয় খুব দ্রুত। সে সঙ্গে নানান রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।
৩। একনাগারে চেয়ারে বসে থাকা : ইদানীং প্রয় সব অফিসেই একনাগাড়ে চেয়ারে বসে কাজ করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। একনাগাড়ে বসে থাকার ফলে অনেকেরই ভূঁড়ি বেড়ে যায় খুব দ্রুত। পুরো শরীরের ওজনটা তো বাড়েই। সে সঙ্গে দেখা দেয় চোখের সমস্যা। একনাগাড়ে বেশিক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে হার্টেও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সে সঙ্গে অতিরিক্ত মেদের কারনে নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয় যা অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
৪। পিরিয়ডের বিলম্ব নিয়ে অবহেলা : অনেক নারীই পিরিয়ডে বিলম্ব হওয়ার ব্যাপারে বেশ অসচেতন। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পিরিয়ড না হলেও অনেকেই ভাবেন তেমন কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তুু নিয়মিত পিরিয়ড হলো সুস্থ্যতার লক্ষণ। তাই পিরিয়ড অনিয়মিত হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং সমস্যা খুলে বলা উচিত। যে কোনো গাইনি সমস্যাই অবহেলা করা উচিত নয়।
বিঃ দ্রঃ পোষ্টের মাঝে যদি কোন শব্দ ভুল বা উচ্চারনে ভুল হয় দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আপনাদের হতে কাম্য।