সবাই চায় সূস্বাস্থ্য ও সুখী জীবনের অধিকারী হতে। যার স্বাস্থ্য ভালো তার সব ভালো।স্বাস্থ্যের সঙ্গে মনের মনের একটা বড় সম্পর্ক রয়েছে। সূস্বাস্থ্যেও অধিকারী মানুষ নিজের সুখের জন্য পথ তৈরী করে নেবেন নিজের থেকেই। অপরদিকে একজন অসুস্থ মানুুষ চাইলেও নিজের মনেক সুখ দিতে পারেন না।
একারনেই সুস্বাস্থ্য এবং সুখী জীবন যাপন করে তোলার জন্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কিছু কাজও করতে হবে নিজেকে মানসিকভাবে সুখী করার জন্য। সেসব অভ্যাস ও কাজের কথাগুলো আসুন জেনে নেওয়া যাক।
সুস্বাস্থ্য পেতে::
১. প্রতিদিন কম করে হলেও ১০ মিনিট হাটুন।
২. সিঁড়ি বেয়ে উঠুন লিফটের বদলে।
৩. প্রতিদিন কমকওে ১০ মিনিট অন্ধকার স্থানে চুপচাপ চোখ বন্ধ করে বসে থাকুন।
৪. ৬-৮ ঘন্টা নিয়মিত এবং নির্দ্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করূন। বেশি রাত জাগবেন না।
৫. প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট সময় বের করে ব্যায়াম করার চেষ্টা করূন।
৬. মাসে কমপকওে একবার দু‘দিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসুন পছন্দের কোন স্থানে।
৭. শরীরকে কষ্ট দিয়ে কোন কাজ করবেন না। আপনি যতটুকু পারবেন ততটুকু করার চেষ্টা করবেন।
৮. প্রতিদিন ৪-৫ লিটার পানি পান করবেন।
৯. সময়মতো এবং পরিমানমতো খাওয়া দাওয়া করূন।
১০. খাদ্য তালিকায় বেশি রাখুন শাকসবজি, ফলমুল। শুধুমাত্র প্রয়োজন অনুযায়ী মাছ, মাংস খান।
১ প্রাণ খুলে হাসুন। সবাইকে মিষ্টি হাসি উপহার দিন।
২ নিজের সঙ্গে অন্য কারো তুলনা করতে যাবেন না। আপনি আপনার স্থানে ভিন্ন একজন মানুষ।
৩ নেতিবাচক সবধরনের ভাবনা ঝেরে ফেলুন, যারা নেতিবাচক ভাবনা করে তাদের জীবনে ইতিবাচক ঘটনা বেশ কমই ঘটে।
৪ আয় বুঝে ব্যয় করূন। নিজের সীমার বাইরে যাবেন না কখনো। একবার সীমার বাইরে চলে গেলে জীবনটা অগোছালো হতে পারে।
৫ একদম সময় নষ্ট করবেন না। কাজ করূন যতটুকো সময় পান। বাকি সময় নিজের জন্য এবং নিজের পরিবারের জন্য ব্যয় করূন। জীবনে উন্নতি ও সূখ পাবেন।
৬ হিংসা,লোভ-লালসা, রাগ, ঈর্ষা-এধরনের আবেগ গুলো নিজের থেকে দুরে রাখুন। নিজের উপর নিয়ন্ত্রন রাখুন যতোটা সম্ভব।
৭ অতীত থেকে জ্ঞান অর্জন করূন। জ্ঞানগুলো কাজে লাগান আর অতীতকে ভুলে যান। অতীত কি করতে পারতেন আর কি করতে পারতেন না তা আর এখন ভেবে কোন লাভ নেই। এটি শুধুই বর্তমানকে নষ্ট করে।
৮ মানুষকে ভালোবাসুন । জীবনটা অনেক ছোট। এখানে অন্য একজনকে ঘৃনা করে কাটানোর মতো সময় একেবারেই নেই।
৯ মাফ করতে শিখুন। এতে মনের আনন্দ ফিরে পাবেন।
১০ সবসময় ন্যায়ের কথা বলুন। আদর্শে জীবন চলে না, কিন্তু আপনি আদর্শ অনুসরন না করলে জীবনে শান্তি পাবেন না। মনে সুখ আসবে না।