ফুচকা পাগলি- ওই শোনো না আর এক প্লেট ফুচকার ওর্ডার দেও না ( নুসাইবাহ ) --মা...মানে এইমাত্র না দুই প্লেট ফুচকা খাইলা আরো এক প্লেট ? ( আমি) --এত মানে মানে করার কি আছে । তোমাকে দিতে বলছি দিবা এত বেশী কথা বল কেন ( একটু রাগি মুড নিয়ে ) --অ...অকে দিতেছি । আল্লাহ্ জানে তোমারে কি দিয়া বানাইছে এত ফুচকা যে তুমি খাও কেমনে --হুহ ! এখন যাও আর এক প্লেট ফুচকা নিয়ে আস বেশি কথা না বলে দেখছেন দুই প্লেট ফুচকা খাওয়ার পড়ো নাকি তার আরো এক প্লেট চাই । আমি এখনও এক প্লেট খাইয়া শেষ করবার পাইলাম না...আর উনি একবারে দুই প্লেট আল্লাহ্ রহম কর মুরে----- উফ ! এই মেয়ের জালাই আর বাঁচি না কেমনে যে এত ফুচকা খায় আল্লাহ্ জানে । তারাতারি গেলাম আনতে নইলে পরে আবার আমার অবস্থা ব্যবস্থা কইরা ছাড়ব । ---এই নেও তোমার ফুচকা এইবার তারাতারি খেয়ে আমাকে উদ্ধার কর ।
বাসায় যেতে হবে আমার ( বিরক্তি ভাব নিয়ে) ---কি বল্লা তুমি আবার বল ত ---ক...কই কিছু না । খাও তুমি আরামছে খাও যত খন লাগে তুমার (ভয়ে ভয়ে) ---হুম কোন দুঃখে যে এই মেয়ের প্রেম এ পড়তে গেছিলাম আল্লহ ।জানে এখন আমার জীবন টারে তেজ পাতা বানাইয়া ছাড়ল... ওহ ছরি ! আমার পরিচয় টাই ত দেওয়া হল না আমি নাসির , এই বার বুয়েট তৃতীয় বর্ষ আর যার পাগলামি এত খন দেখলেন তিনি হলেন আমার জান আমার পরান;, একমাত্র ভালবাসার মানুষ নাম ত আর বলার দরকার নাই তাইনা ?
ঊনার খাওয়া শেষ হলে কিছুখন হাটাহাটি করে তারপর উনাকে বাসায় পৌছে দিয়ে আমিও বাসায় গেলাম বাসায় যেতেই ম্যাডাম এর ফোন... ক্রিং ...ক্রিং --ওই ব্যাটা ফোন ধরতে এত সময় লাগে ? ( রাগি গলায়) --কই সাথে সাথেই ত ধরলাম ( ভয়ে ভয়ে) ---বাসায় গেছ ---হুম --অকে যাও ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে ঘুমাবা । আর এখন যদি ফেসবুক এ ঢুকছ তাইলে .......আর আমার কথা না শুনলে জানই তোমার কি অবস্থা হবে --- জি ম্যাডাম --হুহ অকে যাও ...আর... আই লাভ উ ---হুম আই লাভ ইউ-ঠু ।
পাগলি একটা যেমন শাসন করবে তেমনি ভালোবাসবে । এক আজব ঘটানার মাধ্যমে আমার আত তার পথ চলা একদিন আমি চায়ের দোকানে বসে ছিলাম পাশেই ছিল ফুচকাওয়ালা...কয়েকজন মেয়ে ওই দোকানে ফুচকা খেতে আসছে নুসাইবাও ছিল । মেয়েটা দেখতে অনেক কিঊট ছিল একবারে বাচ্চাদের মত । আমি তাদের কথা শুন্তেছিলাম তারা দেখি ফুচকা খাওয়া নিয়ে বাজি লাগতাছে আমি ত টাস্কি খাইয়া গেছি এইটা আবার কেমন বাজি । আমি আবার একটু আজব ধরেনের মানুষ যেখানেই বাজির কথা উটে সেখানে আমি আছি কিন্তু নিজের ইচ্ছাতেই বাজি হারি এই পর্যন্ত ত একতা বাজি যেতার রেকর্ড নাই আমার । তাই তাদের কথা শুনে আমিও গেলাম সেখানে --এক্সকিউজমি --হুম বলুন ( নুসাইবা) --আপনারা মনে কোন কিছু নিয়ে বাজি ধরতেছেন ( আমি) ---হুম ফুচকা খাওয়া নিয়ে ।
কেন আপনি ধরবেন নাকি ( পাশের জন) ---যদি অনুমতি দেন তাহলে রাজি আছি ---ওমা তাই!! অকে তবে কিছু শর্ত আছে মাইরালছে আমি ত ভেবা চেকা খাইয়া গেলাম বাজির মধ্যেও আবার শর্ত এই প্রথম শুনলাম। আমি সবার মুখের দিকে একবার তাকিয়ে তার পর বল্লাম ---অকে কি শর্ত বলুন --আমি যদি এই বাজি জিতি তাহলে আপনি আমাকে প্রত্যেকদিন ফুচকা খাওয়াবেন । রাজি থাকলে বলেন নইলে ভাগেন এ এইটা আবার কেমন শর্ত একদিন না দুইদিন না একেবারে প্রত্যেকদিন এ এত দেখা যায় রিতি মত অত্যাচার কি আর করার রাজি হয়ে গেলাম --ওকে আমি রাজি এইবার শুরু করুন ---মামা ফুচকা বানানি শুরু কর ...( নুসাইবাহ) ওমারে এই মেয়ে এত তারাতারি খাই কেমন আমি ত এখনও এক প্লেট ভাল করে শেষ করতে পারি নাই
আর উনি দেখা এক প্লেট শেষ করে দুই নাম্বারটা খাওয়া শুরু করছে খাইছে তাইলে আমি শেষ আল্লাহ্ দুই নাম্বার অ দেলহা যায় শেষ আর আমি দুই নাম্বারটার অর্ধেক খাইছি মাত্র না হার মান্তে হবে নইলে পরে আবার আমার পেট এর খবর হবে ---ওকে-ওকে আমি হার মান্তেছি বুঝছি আপনার সাথে ফুচকা খাওয়ায় পারা যাবে না ( ক্লান্ত হয়ে ) -কি মিস্টার এই টূকুতেই শেষ হাহাহাহা বান্ধবী গুলাও আমার দিকে তাকাইয়া হাস্তেছে ---কি করবু বলুন আপনি যেভাবে খান এমন খাওয়া আমি বাপের জন্মেও দেখি নাই ---হিহহিভিহিহিহ...... কি সুন্দর হাসি আমার ত তার প্রেম পইরা জাইতে ইচ্ছা করতেছে -- তা আপনি শর্ত পালনের জন্য রেডি ত ---হুম কি আর করার বাজি যখন ধরছি --অকে আমার নাম্বার রাখেন 017*************** কাল এই সময় ফোন দিবেন --অকে এই ভাবেই শুরু আমাদের পথ চলা ।
এরপর থেকে একদিনও ওর ফুচকা খাওয়া বাদ যাইনি এমনি বৃষ্টির দিনেও না তাইলে বুঝেন কেমন ফুচকা পাগল...... তাইত অনেক ভালবাসি আমার এই ফুচকা পাগলিটাকে... আজীবন ভালবাসব তাকে তাইত তার কোনো কথা না শুনে পারি না তার শাসন তার ভালবাসায় আজ আমি এক অজানা বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছি... ভালবাসি ভালবাসি.. !!!!!!