ঘরোয়া উপায়ে যেভাবে চুল বাড়াবেন? এবং কিভাবে শ্যাম্পু করবেন ?




চুলে ভলিউম আনতে টেসিং অর্থাৎ চিরুনি দিয়ে চুল ফোলানো বাদ দিন। কারণ টেসিং করতে গিয়ে চুল আরো ভেঙে যায় ফলে চুল পাতলা হয়ে যায়।

চুলের পরিবর্তন আনুন, চুলে দিন শর্ট লেয়াল অথবা ভলিউম লেয়ার কাট- যা চুলকে ঘন দেখাতে সাহয্য করবে।

চুলে ভলিউম আনতে ব্যবহার করুণ ড্রাই শ্যাম্পু ড্রাই শ্যাম্পু চুলের গোড়া থেকে বাড়তি তেল দূর করে চুলের গোড়ায় ভলিউমের সৃষ্টি করে। তাই চুলে ভলিউম আনতে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ড্রাই শ্যম্পু না থাকলে একটু বেবি পাউডার চুলের গোড়ায় ব্যবাহার করে ভালমতো চুল আচড়ে নিন যাতে বাড়তি পাউডার ঝড়ে যায়। এতে দ্রুত চুল ভলিউম হবে।

চটজলদি চুলে ভলিউম চুলের গোড়ার দিকের চলে একটু হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে নিন। তবে খুব বেশি না ব্যবহার করাই ভাল।

অনেকের চুল অনেক বেশি পাতলা বলে সিথি কাটলে খুবই বাজে দেখায়। এর উপায় হলো, গাঢ় ছাই আইশ্যাডো ছোট একটা ব্রাশ নিয়ে সিথির ওপর ও পাশে লাগিয়ে নিন। এতে সিথি দেখতে বাজে লাগবে না; বরং দেখে মনে হবে, মাথায় অনেক চুল আছে।

ঘুমানোর আগে মাথার ওপর গোল করে অর্থাৎ টুপির মতো একটা ব্যান্ড বেধে রাখুন। সকালবেলা যখন চুল খুলবেন, চুল দেখতে অনেক বেশি ও ঘন মনে হবে।

দই বা কন্ডিশনার ব্যাবহার করুন। প্রথম চুলে পানি স্প্রে করে নিবেন। চুল হালকা ভেজা হয়ে গেলে এরপর কন্ডিশনার লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে এরপর শ্যাম্পু করে আবার কন্ডিশনার ব্যাবহার করুন।

ক্যাস্টর অয়েল চুলের গোড়া মজবুত করে। সপ্তাহে এক দিন নারিকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল ৩:১ অনুপাতে মিশিয়ে কুসুম গড়ম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করুন। সারা রাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে নিন। প্রাকৃতিক ভলিউম পাবেন চুলে।

প্রাকৃতিকভাবে ভেতর থেকে চুলের ভলিউম বাড়াতে এক গ্লাস দধ বা টক দই রাখুন নিয়মিত খাদ্য তালিকায় বাদাম ও টক দই চুল ভালো রাখে।


  • প্রথমেই চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বাছাই করতে হবে।
  • শ্যাম্পু করার আগে চুল আঁচড়ে জট ছড়িয়ে নিন।
  • এরপর পুরো চুল ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে।
  • একটি বাটিতে শ্যাম্পুর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে এর ঘনত্ব কমিয়ে নিতে হবে যেন তা চুলের গোড়ায় সহজে পৌঁছাতে পারে।
  • ১৫ মিনিট আঙুল দিয়ে আস্তে আস্তে মাথার ত্বক মালিশ করতে হবে। এত রক্ত সঞ্চালন হবে, য চুলের গোড়া মজবুত করবে। তা ছাড়া এভাবে চুলের ময়লাও উঠে আসবে।
  • ম্যাসেজের সময় মাঝে মাঝে হাতে অল্প করে পানি দিয়ে চুলে ফেনা করতে হবে।
  • এবার চুল ভালমতো ধুয়ে ফেলুন।
  • এরপর দ্বিতীয় দফায় শ্যাম্পু করতে হবে। এবার আর ম্যাসাজ নয়। কারণ-ম্যাসাজের ফলে চুলের গোড়া থেকে সিবাম নামের একধরনের তেল নির্গত হয়, এটি থাকলে আর শ্যাম্পু করে লাভ কী? তাই চুল শ্যাম্পু করতে হয় দইবার।
  • পানি দিয়ে ফেনা ধুয়ে ফেলার পর এবার কন্ডিশনার ব্যাবহারের পালা। চুলের আগায় কন্ডিশনার লাগিয়ে কিছুক্ষন রেখে ধুয়ে ফেলুন। মোটা তোয়ালে জড়িয়ে প্রথমে চুলের পানি নিংড়ে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা বাতাস বের হয় এমন হেয়ার ড্রায়ার বা ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নিন।


SHARE THIS

Author:

Shamim Reza is a young and challanging web, graphics and logo designer. Big publisher at Adsense also...........

Previous Post
Next Post