ব্যাবস্থাবিষয়ক এক ওয়েব সাইটের তথ্য মতে, ক্যান্সার হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে জি¦নগত সমস্যা, জীবন যাপন, ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রম, কিছু নির্দিষ্ট সংক্রমণ, বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানের কারণে হওয়া বিভিন্ন পরিবেশগত সমস্যা ইত্যাদি অন্যতম। গবেষণা বলছে, ভুলভাল খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব- একজন ব্যাক্তির ক্যান্সারের ঝুকি বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম প্রধান দুটি কারণ।
ক্যান্সার ঝুকি কমাতে ধুমপান বর্জন করা ছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন কাজ করা উচিত। যেমন-স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করা, পুষ্টিকর খাবার, বিশেষত উদ্ভিদ ভিত্তিক খাবার খাওয়া ইত্যাদি। অতিরিক্ত মদ্যপান, মেদ ও পরিশ্রমের অভাবে ক্যান্সারের মত মরনঘাতক ব্যাধি থেকে বাচা সম্ভব।
প্রক্রিয়াজাত মাংসঃ যুক্তরাষ্টের ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াইয়ের করা এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, প্রক্রিয়াজাত মাংস অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ঝুকি বাড়ায় প্রায় ৬৭ শাতাংশ। এতে থাকে উচ্চমাত্রায় রাসায়নিক পদার্থ ও খাদ্য সংরক্ষক। আরও থাকে নাইট্রেট, যা এর স্বাদ বাড়ায়।
প্রক্রিয়াজাত ও কৃত্রিম চিনিঃ শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত চিনি ক্যান্সার কোষের প্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। অর্থাৎ এটি ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে সহায়ক। মেডিসিন বিভাগে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত জার্মান চিকিৎসক ১৯৩১ সালে প্রথম আবিস্কার করেছিলেন যে টিউমার ও ক্যান্সার কোষ বেড়ে উঠতে উচ্চমাত্রায় ‘ফ্রুক্টোজ’ চিনির উপর নির্ভরশীল। স্মোকড মিট বা কাঠের ধোয়ায় প্রস্তুতকৃত মাংস খাওয়াও স্বাস্থের জন্য সুবিধার নয়, কারণ এই ধরণের খাবার তৈরির সময় মাংসে ‘টার’ অর্থাৎ ধোয়া থেকে সৃষ্টি বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে নেয়। তাই খেতে হবে চর্বিহীন মাংস অথবা মাংস ঘরেই রাধতে হবে।
পরিশোধিত সাদা আটাঃ আটা পরিশোধনের সময় এর প্রায় সকল পুষ্টিগুনই নষ্ট হযে যায়। পরে একে ক্লোরিন গ্যাসের সাহায্যে ব্লিচ করা হয় ক্রেতার চোখে আকর্ষণীয় করার জন্য। এই আটার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রাও অনেক বেশি। অর্থাৎ শরীরে পুষ্টি সরবরাহ ছাড়াই ইনসুলিনের মাত্রা হুট করে বাড়িয়ে দিতে পারে।
তাই পরিশোধিত আটার পরিবর্তে গম, কাঠবাদাম বা বার্লির আটা খাওয়া ভালো।
আলুর চিপসঃ- হাইড্রোজেনে ভেজিটেবল অয়েল‘য়ে ভেজে তৈরি করা হয় এই চিপস্, সঙ্গে থাকে অতিরিক্ত লবণ। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন‘ যে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন মাত্র এক আউন্স চিপস খেলেই বছরে গড়ে প্রায় দুই পাউন্ড ওজন বাড়াতে পারে। পাশাপাশি এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাটও থাকে, যা কোলেস্টোরেলের মাত্রা বাড়ায়। আর লবণে থাকা সোডিয়াম বাড়ায় রক্তচাপ। আলুর চিপস্কে মচমচে করার জন্য ভাজা হয় উচ্চতাপমাত্রায়। এতে অ্যাকিলামাইড ‘কারসিনোজেন’ ধরণের বিষাক্ত উপাদান তৈরি হয়। যা সাধারণত সিগারেটে মেলে। এজন্য দোকান থেকে চিপস্ কেনার পরিবর্তে ঘরেই চিপস্ বানিয়ে খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।
মাইক্রোওয়েব পপকর্নঃ – খাওয়া সহজ এবং তুলনামূলকভাবে স্বাস্থ্যকর একটি ¯স্নাকস্ পপকর্ন। তবে, ঝামেলা হল এর প্যাকেটে। বেশিরভাগ মাইক্রোয়েব পপকর্নের প্যাকেটের গায়ে থাকে‘পারফ্লুরোঅক্টানোইক’ অ্যাসিড নামক রাসায়নিক উপাদান। যা স্তন, বৃক্ক, মূত্রথলি, কোলোরেক্টল, প্রোষ্টেট, ফুসফুস, থাইরয়েড, লিউকেমিয়া এবং লিম্ফোমা ক্যান্সারের জন্য দায়ী।